সম্পদ অর্জনে সময় ব্যয় করা দ্বীনদারিরই অংশ

যারা দ্বীনদার এবং সম্পদ অর্জনের সুযোগ আছে তাদের উচিৎ সম্পদ অর্জনের জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় করা এবং উদাসীন না হওয়া। কিছুদিন আগেও আমার মনে হতো যে কীভাবে সব ছেড়েছুড়ে আরও বেশি আখিরাতমুখী সময় দেওয়া যায়। অর্থাৎ দুনিয়া তথা সম্পদ অর্জনের পরিশ্রম ও সময় কম করা যায়। কিন্তু এখন সে ধারনাটি থেকে অনেকটা সরে এসেছি।

আসলে সম্পদ দিয়ে সহজে জান্নাত কেনা যায়। আল্লাহর রাস্তায় জান দেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মাল দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ এদুটোর বিনিময়েই জান্নাত বিক্রি করেছেন। অর্থাৎ আমাদের থেকে জান আর মাল উভয়ই ক্রয় করেছেন।

একজন দ্বীনদার মানুষ যখন সম্পদ অর্জন করে তখন সে গাড়ির মডেল চেঞ্জ করে না বরং সেটা দিয়ে অভাবীদের অভাব পূরণ হয়। ইয়াতীমদের খাবার হয়। ঋণগ্রস্তদের ঋণ শোধ হয়। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা হয়। এর চেয়ে বড় নৈকট্যের বিষয় আর কী হতে পারে!

সবাইকে কিন্তু আল্লাহ সম্পদ অর্জনের সুযোগ দেননি। অধিকাংশ দ্বীনদার মানুষই যথেষ্ট সম্পদশালী নয়। বা অধিকাংশ সম্পদশালী মানুষই দ্বীনদার নয়। সুতরাং যদি আপনাকে আল্লাহ দ্বীনের সাথে সম্পদ অর্জনের সেই সুযোগ দিয়ে থাকেন তা নষ্ট করবেন না। সহজে জান্নাত কিনতে সম্পদের চেয়ে সহজ বিষয় আর নেই।

অনেকের ধারণা যে জ্ঞানার্জন আর দাওয়াত তালিমই যেহেতু সর্বোচ্চ ফজিলতের বিষয় তাই আমাকে জ্ঞানের জন্যই ফিদা হতে হবে। না বন্ধুরা, জ্ঞানার্জন সবার জন্য নয়। কাউকে আল্লাহ জ্ঞান দিয়েছেন, কাউকে সম্পদ। আপনার জন্য যদি জ্ঞান না হয় সম্পদই ভালো। আপনি চাইলেই মেসির মতো যেমন ফুটবল খেলতে পারবেন না তেমনি চাইলেই ইবন তাইমিয়া হতে পারবেন না। ইবন তাইমিয়া দুই একটাই যথেষ্ট, যে কারণে মহান আল্লাহ ঘরে ঘরে ইবন তাইমিয়া সৃষ্টি করেন না।

তবে একটা কিন্তু আছে। কিন্তুটা হলো এই সম্পদ অর্জন করতে গিয়ে নিজের বেসিকটা নষ্ট করা যাবে না। বেসিক বলতে ফরজ ওয়াজিব লংঘন করার সুযোগ নেই। ওটা হলে তো আম ছালা দুইটাই যাবে।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান