ট্র্যান্সজেন্ডার ও হিজড়া: পরিচিতি এবং পার্থক্যসমূহ

লিখেছেন: ড. আহমদ আলী

মানুষ সাধারণত জন্মগতভাবে যে লিঙ্গ নিয়ে জন্মায় সেই লৈঙ্গিক পরিচয়েই শনাক্ত হয় — সে পুরুষ নাকি মহিলা। যখন কোনো মানুষ সবেমাত্র জন্মগ্রহণ করে, তখন ডাক্তাররা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে পারেন যে, সেই মানবশিশু কি মেয়ে নাকি ছেলে।

এই সিদ্ধান্তটি মানুষ বহন করে কিছু জৈবিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে, আর যখন সেই শিশুটি বড় হতে শুরু করে, বিশেষ করে তার বয়ঃসন্ধিকালে তার লিঙ্গবৈশিষ্ট্য আরও প্রকট হয়ে ওঠে। তখন সর্বসাধারণ সহজেই তার একটি লিঙ্গ পরিচয় তৈরি করতে পারে যে, সে পুরুষ নাকি মহিলা।

এদিকে, এমন কিছু লোকও রয়েছে, যাদেরকে তাদের জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে তাদের পরিচয় — ছেলে কি মেয়ে — নির্ণয় করা কঠিন। এরা দেখতে কিছুটা মেয়েদের মতো হলেও শারীরিকভাবে ছেলেদের মতো শক্ত ও পেশীবহুল দেহের অধিকারী হয়, এদেরকে প্রায়ই ইন্টারসেক্স [আন্তঃলিঙ্গ] হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কেউ কেউ এদেরকে থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও বলে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ায় এরা হিজড়া নামেও পরিচিত।

উল্লেখ্য, হিজড়াদেরকে যদিও কেউ কেউ থার্ড জেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে থাকে; কিন্তু তারা আসলে তৃতীয় কোনো লিঙ্গ নয় বা দুটির মাঝামাঝি কিছুও নয়। তারাও হয় নারী অথবা পুরুষ, তবে তাদের যৌন অঙ্গ, গঠণ বা জিনগত কিছু ত্রুটি থাকে। যে কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলোকে ‘লিঙ্গবিকাশজনিত ত্রুটি’ (Disorder of Sex Development /সংক্ষেপে DSD)-ও বলা হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়- ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যাদের জন্ম-পরবর্তী লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়, মূলত তারাই হিজড়া।

অপরদিকে ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্তঃলিঙ্গ বা ইন্টারসেক্স নয়। তাদের কোনো ধরনের ডিএসডি (Disorder of Sex Development) নেই।

তাদের জন্ম হয়েছে সুস্থ এবং স্বাভাবিক যৌনাঙ্গ নিয়ে এবং এর ফলে তাদের জন্ম-পরবর্তী লিঙ্গ নির্ধারণে কোনোরূপ জটিলতাও দেখা দেয় না। তারা সম্পূর্ণ সুস্থ, শারীরিকভাবে ১০০% নারী বা পুরুষ — যাদের অনেকেই হয়তো একসময় স্বাভাবিকভাবে বাবা কিংবা মা-ও হয়েছে — এক পর্যায়ে এসে নিজেদের বিপরীত লিঙ্গের বলে ঘোষণা দিচ্ছে, বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরতে শুরু করছে, নাম বদলাচ্ছে।

এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সার্জারির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করছে। অনেকে আবার কোনো অপারেশন ছাড়াই দিব্যি বিপরীত লিঙ্গের মানুষ হিসেবে জীবন কাটাচ্ছে। এই হলো ট্র্যান্সজেন্ডার।

ইসলামী শরীয়াতে হিজড়াদের লিঙ্গ পরিচয়

ইসলামী শরীয়াতে হিজড়াকে ‘খুনসা’ বলা হয়। শরীয়তের পরিভাষায় ‘খুনসা’ বলতে বোঝানো হয় —

الذي له آلة ذكر وآلة أنثى ، أو الذي يبول من ثقب وليس له آلة ذكر ، ولا آلة أنثى.

এমন ব্যক্তিকে যার পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ উভয়টি বিদ্যমান; অথবা কোনোটিই নেই, কেবল প্রশ্রাবের জন্য একটি ছিদ্রপথ রয়েছে। অর্থাৎ একই দেহে স্ত্রী এবং পুংচিহ্নযুক্ত অথবা উভয় চিহ্নযুক্ত মানুষই হলো হিজড়া।

ইসলাম মৌলিকভাবে মানুষকে পুরুষ ও নারী হিসেবেই গণ্য করে থাকে। এখানে তৃতীয় লিঙ্গের কোনো ধারণা নেই। যাদের দেহ শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা পুরুষ, যাদের দেহ ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য তৈরি তারা নারী। তবে খুব অল্পসংখ্যক মানুষ, যাদের প্রজনন ব্যবস্থা ও যৌন বিকাশের ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকে, যাদের দেহে বাহ্যিকভাবে জন্মগতসূত্রে নারী ও পুরুষ উভয়ের বৈশিষ্ট্যের কিছু মিশ্রণ দেখা যায়, তাদের মাঝে নারী বা পুরুষ যে বৈশিষ্ট্য বৈশি থাকবে, সেই লোক সেই লিঙ্গের বলে গণ্য হবে।

এ প্রসঙ্গে একবার সাইয়িদুনা আলী (রা.)-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রসূত বাচ্চা পুরুষ-নারী নির্ধারণ করতে না পারলে তার বিধান কী? তিনি জবাব দিলেন, يُوَرَّثُ مِنْ حَيْثِ يَبُولُ -‘‘সে মীরাস বা সম্পদের উত্তরাধিকার পাবে যেভাবে সে প্রশ্রাব করে।”

এ রিওয়ায়ত থেকে স্পষ্ট জানা যায় যে, পুরুষপ্রবণ হিজড়াদের জন্য স্বাভাবিক পুরুষদের বিধান প্রযোজ্য হবে। নারীপ্রবণ হিজড়াদের জন্য সুস্থ নারীদের বিধান প্রযোজ্য হবে। আর দুইয়ের মাঝামাঝি হিজড়াদের জন্য স্বাভাবিক নারীদের বিধান প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ হিজড়াদের নারী-পুরুষ যে কোনো একটি শ্রেণিতে গণ্য করতে হবে। ইসলাম এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেটা হলো, দেখতে হবে হিজড়ার প্রশ্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রশ্রাব করে? নাকি নারীদের মতো গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রশ্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মতো হবে হুকুম তাদের মতোই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালি হয়, তাহলে পুরুষ। আর যদি নারীর মতো হয়, তাহলে সে নারী। আর যদি কোনোটিই বোঝা না যায়, তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে। সে হিসেবেই তার ওপর শরীয়তের বিধান আরোপ করা হবে।

ট্র্যান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের মধ্যকার পার্থক্যসমূহ

ট্র্যান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়। কিন্তু আমাদের অনেকেই ট্র্যান্সজেন্ডারদের কথা শুনলেই মনে করে যে, এটা হয়তো হিজড়াদের প্রসঙ্গ। মিডিয়াগুলোতেও এ নিয়ে মহাপ্রতারণা চলছে। বস্তুতপক্ষে এ দুটি শ্রেণির মধ্যে বেশ বড় ধরণের পার্থক্য রয়েছে, যদিও ট্র্যান্সজেন্ডার লোকেরা নিজেদেরকে অনেকসময় ‘হিজড়া’ পরিচয় দিতে পছন্দ করে এবং এভাবে হিজড়াদের জন্য সমাজে সংরক্ষিত কিছু সুযোগ-সুবিধা আদায় করতে চায়। নিম্নে তাদের মধ্যকার পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো-

১. লিঙ্গ-বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য

ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা মানসিকভাবে এমন লিঙ্গ-বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যেটি তাদের জন্মের সময় নির্ধারিত লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মেলে না। অর্থাৎ জন্মগত শারীরিক লিঙ্গ-বৈশিষ্ট্য নারীর হলেও তারা মানসিকভাবে পুরুষের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, অনুরূপভাবে শারীরিক লিঙ্গবৈশিষ্ট্য পুরুষের হলেও তারা মানসিকভাবে নারীর বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।

পক্ষান্তরে একজন ইন্টারসেক্স বা হিজড়া এমন লিঙ্গ-বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, যা স্পষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর বৈশিষ্ট্য নয়। জাতিসংঘের ফ্যাক্টশিটে বলা হয়েছে, ইন্টারসেক্স ব্যক্তিদের জন্মগত যৌন বৈশিষ্ট্য (জননাঙ্গ, গোনাড এবং ক্রোমোজোম প্যাটার্ন) পুরুষ বা নারীর প্রথাগত ধারণার সঙ্গে খাপ খায় না।

২. শারীরিক অবস্থা ও রুচিগত পার্থক্য

হিজড়াদের যে জন্মগত অভিরুচি ও শারীরিক অবস্থা তা নিয়েই তারা বেড়ে ওঠে এবং একই অবস্থার ওপর আমৃত্যু থাকে। তাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিবর্তনের খুব একটা প্রচেষ্টা সাধারণত দেখা যায় না।

পক্ষান্তরে ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা তাদের জীবনের একটি বড় অংশ নারী বা পুরুষ- এক ধরণের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে অতিবাহিত করে; কিন্তু হঠাৎ তাদের সেই পূর্বের লিঙ্গগত পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে উদ্যোগী হয়। এতদুদ্দেশ্যে তাদের অনেকেই পোশাক-আশাক, আচার-ব্যবহার ও নাম প্রভৃতিতে নিজ নিজ জেন্ডার পরিচয়ের সঙ্গে সাধ্যানুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবর্তন সাধনের চেষ্টা করে। এ জন্য তাদের কেউ পোশাকের ধরন পরিবর্তন করতে পারে; জন্মসনদ, শিক্ষাগত সনদ ও পাসপোর্ট প্রভৃতিতে নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারে এবং চুল, চেহারা ভয়েসসহ শারীরিক নানা পরিবর্তন করতে পারে।

এছাড়াও, কিছু ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তি জেন্ডার পরিচয়ের সঙ্গে মিল রেখে সম্পূর্ণরূপে শারীরিক পরিবর্তনের জন্যও চেষ্টা করে থাকে। তারা তাদের পছন্দের লিঙ্গ এবং লিঙ্গ হওয়ার জন্য চিকিৎসা প্রচেষ্টা করে, যেমন- সেক্স রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি এবং হরমোন পরিবর্তন ও ভয়েস থেরাপি। এভাবে তারা তাদের ইচ্ছামতো নিজেদের যৌনাঙ্গ, জরায়ু, ত্বক, চুল, দাড়ি, বক্ষ, চেহারা, কোমর, নিতম্ব, কণ্ঠ প্রভৃতি পরিবর্তন করে থাকে। উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত সামাজিক, শারীরিক ও আইনী পরিবর্তনগুলোকে ‘রূপান্তর’ বলা হয়।

কখনো আবার কোনো সন্তান নির্দিষ্ট লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে জন্ম নেয় (পুরুষ বা মেয়ে); কিন্তু পরবর্তীতে শরীরের গঠণশৈলী, আচার-আচরণ বিপরীত লিঙ্গের মতো হয়। অর্থাৎ জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় এবং আইডেন্টিক্যালি পরিচয় ভিন্ন হতে শুরু করে। তখন লিঙ্গ পরিবর্তন করে নেওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলা করা হয়। এদেরকেও ট্র্যান্সজেন্ডার বা লিঙ্গ রূপান্তরকারীর শ্রেণিভুক্ত করা হয়।

৩. যৌন আকর্ষণগত পার্থক্য

ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের ভিন্ন ভিন্ন যৌন আকর্ষণ থাকে। তাদের কেউ বিপরীতকামী হয়, কেউ সমকামী হয়, আবার কেউ উভকামী হয়ে থাকে।

পক্ষান্তরে হিজড়াদের সম্পর্কে সাধারণত কেউ ধারণা করে না যে, তারা সমকামী বা উভকামী। একজন ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তি সেক্সুয়াল একটিভিটিস করতে পারে এবং সেই ট্র্যান্স ব্যক্তি নারী হলে তার অন্য কোনো জটিলতা না থাকলে প্রেগনেন্টও হতে পারে এবং সন্তান নিতেও সক্ষম। পক্ষান্তরে একজন হিজড়া স্বাভাবিকভাবে এ ধরণের কোনো সেক্সুয়াল এক্টিভিটিস করতে এবং সন্তান নিতে সক্ষম নয়।

৪. মনস্তাত্ত্বিক পার্থক্য

হিজড়ারা সাধারণত মানসিকগত দিক থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়। সমাজের কেউ তাদেরকে মানসিক ব্যধিগ্রস্ত হিসেবে দেখে না। এটাকে সকলেই জন্মগত সমস্যা হিসেবেই দেখে। হিজড়ারাও তাদের এ অবস্থাকে আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা হিসেবেই মেনে নেয়।

পক্ষান্তরে ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা এক ধরণের মানসিক রোগে আক্রান্ত, যার ফলে তাদের মনে হয় তারা ‘ভুল দেহে আটকা পড়েছে’। এ ধরনের মানুষগুলো একটা বয়সে গিয়ে; সাধারণত বয়ঃসন্ধির সময় নিজের শরীর ও আচরণ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করে। তারা মনে করতে শুরু করে যে, তাদের শরীর যদি বিপরীত লিঙ্গের মতো হতো, তাহলে এ অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতো তারা। এ রোগকে আগে জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার বলা হতো। বর্তমানে এটাকে বলা হচ্ছে জেন্ডার ডিসফোরিয়া।

এছাড়া এ ধরণের মানুষের অনেকে শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, যা নিজ শরীর ও যৌনতা নিয়ে তাদের চিন্তায় নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে আসে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ট্র্যান্সজেন্ডাররা স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ হিসেবে নিজেদের মনে করলেও বা সমাজে উপস্থাপন করলেও তারা অনেক মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়। সাধারণ মানুষের তুলনায় ১৪গুণ বেশি আত্মহত্যা চিন্তা এবং ২২গুণ বেশি আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করে এরা। তাছাড়া এদের মাঝে মাদকাসক্তি, নিজে নিজের ক্ষতি করা, ডিপ্রেশন, উদ্বিগ্নতা ইত্যাদির প্রবণতাও অনেক বেশি। সমাজের লোকেরাও প্রায়ই এসব ট্র্যান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে মানসিক ব্যধিগ্রস্ত হিসেবেই দেখে।

***

উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে জানলাম, হিজড়া এবং ট্র্যান্সজেন্ডার এক নয়, তাদের মাঝে পার্থক্য বিদ্যমান।

হিজড়া হলো লিঙ্গ পরিচয়হীন ব্যক্তি, অপরদিকে ট্র্যান্সজেন্ডার বলতে সাধারণত বোঝায়, যার মানসিক লিঙ্গবোধ জন্মগত লিঙ্গচিহ্ন থেকে ভিন্ন; আর ট্র্যান্সসেক্সুয়াল ব্যক্তিকেও ট্র্যান্সজেন্ডারের শ্রেণিভুক্ত গণ্য করা হয়।

বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতির কারণে এখন কেউ চাইলে স্বাভাবিক লিঙ্গ পরিচয় এবং আইডেন্টিক্যাল বৈশিষ্ট্য ঠিক থাকার পরেও জেন্ডার পরিবর্তন করে নিতে পারছেন। উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য পেতে হয়তো দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া দরকার হয়।

উল্লেখ্য, হিজড়া সম্প্রদায় জন্মের জন্য কোনো মতেই তারা দায়ী নয়। এমনকি তার পিতামাতাও দায়ী নয়। এটা নিছক আল্লাহ তা‘আলার কুদরতের একটি রহস্যময় ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড।

জীববিজ্ঞানীগণ এই ইন্টারসেক্স বা হিজড়া মানবসন্তান জন্মের রহস্যকে এখন পর্যন্ত উন্মোচন করতে পারেননি। তারা একে কেবল বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো একটা সঙ্কট বা বাড়তি বা ঘাটতি বলে ক্ষান্ত হয়ে বসে না থাকলেও তেমন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না।

***

প্রাসঙ্গিক লেখা:

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান