লিঙ্গ পরিচয় ও যৌনতায় অস্বাভাবিক আচরণের স্বাভাবিকীকরণ (অনুবাদ)

মূল খুতবা: ড. ইয়াসির কাযী

খুতবাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে দেওয়া হলেও বিশ্বায়ন ও অবাধ যোগাযোগের এই যুগে মুসলিম অধ্যুষ্যিত জনপদসমূহের ক্ষেত্রেও তা যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বিধায় বিশেষ বিবেচনার দাবী রাখে।

***

প্রিয় মুসলিম! আমরা আজব এক সময়ে বাস করছি। আমাদের এই দেশে যদি কোনো এক টিনেজার, কোনো এক কিশোর বা কিশোরী, ১৬/১৭ বছরের কেউ যদি শরীরে ট্যাটু আঁকতে চায়, শরীরে স্থায়ী কালি লাগাতে চায়, আইন তখন বলবে–না, এর অনুমতি নেই; ট্যাটু লাগানোর বয়স হয়নি তোমার এখনো। যদি বিশ বছর বয়সের কেউ– তার বয়স এখন আঠারোর চেয়ে বেশি– যদি বিয়ার কিনতে যায়, টেক্সাসের আইন তখন বলবে, তোমার যথেষ্ট বয়স হয়নি। তুমি বিয়ার খেতে পারবে না। যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ সিগারেট কিনতে যায়, তাকেও বলা হবে তোমার জন্যে এর অনুমতি নেই।

যদি আঠারোর চেয়ে কম বয়সী কোনো তরুণ বা তরুণী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে– ”আমি কসমেটিক সার্জারি করতে চাই … আমি আমার শরীরের আকৃতি পরিবর্তন করতে চাই … আরও হ্যান্ডসাম এবং সুন্দর হতে চাই।” আইন তখন বলবে, সমাজ তখন বলবে, পিতামাতা তখন বলবে — আর এটা বলার অধিকারও তাদের আছে — এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার বয়স এখনো তোমার হয়নি।

কিন্তু আমরা এখন যা দেখছি তা খুবই অদ্ভুত। এই একই দেশে। যেখানে ১৭ বছর বয়সী একজন সিগারেট কিনতে পারে না, এই একই বাচ্চা যদি এসে বলে– “আমার মনে হচ্ছে আমি ভুল শরীর নিয়ে জন্ম নিয়েছি, আমার মনে হচ্ছে খোদা আমাকে ভুল জেন্ডার দিয়েছেন। আমার মনে হচ্ছে, আমি অন্য জেন্ডারে পরিবর্তিত হতে চাই।” সে যদি ডাক্তারের কাছে যায়, শরীরে স্থায়ী কালির ট্যাটু আঁকতে নয়, কসমেটিক সার্জারি করতে নয়; বরং যেন নিজেকে আরও হ্যান্ডসাম এবং সুন্দর দেখায়। সে যদি যায় নিজ শরীরের অঙ্গচ্ছেদ করতে!! তার জন্মগত অঙ্গ কেটে ফেলতে! যে মৌলিক অঙ্গ তাকে পুরুষ বা নারী বানায় তা কেটে ফেলতে। ওই একই বয়সে! যে বয়সে তার এক প্যাকেট সিগারেট কেনার অনুমতি নেই।

যদি সে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে–আমি আমার বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক বৃদ্ধি রোধ করতে চাই। আমি অস্বাভাবিক, রীতিবর্জিত ওষুধ নিতে চাই যেন আমি প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী যুবতী না হয়ে উঠি, বা যুবক না হয়ে উঠি। ওই একই সমাজ — যা ১৭ বছর বয়সী একজনকে হাতে ট্যাটু আঁকতে দেয় না — সেই সমাজই এটাকে স্বাগত জানায়; সাগ্রহে গ্রহণ করে নেয়।

ক্ষেত্রবিশেষে যদি পিতামাতা আপত্তি তোলে – “একটু থামো। তুমি তো এখনো অনেক ছোট।” ক্ষেত্রবিশেষে যদি পিতামাতা বলে উঠে – “তোমার বয়স মাত্র ১০, ১৫, ১৭। তুমি কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিবে!” তখন কী হয়? তখন অধিক থেকে অধিকতর ক্ষেত্রে আইন-কানুনগুলো পিতা-মাতার বিপরীতে গিয়ে সন্তানের পক্ষ অবলম্বন করছে। কথিত “ট্র্যান্সজেন্ডার অধিকার”- এর ছদ্মবেশে, মানবজাতির সামাজিক কাঠামোর বিরুদ্ধে আমরা আরো একটি ন্যাক্কারজনক আক্রমণ পর্যবেক্ষণ করছি।

আর আপনি যদি পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাস জেনে থাকেন তাহলে এই ধরণের আক্রমণ সঙ্ঘটনের ক্ষেত্রে এটাই প্রথম উপলক্ষ না। গত একশ বছর ধরে, আমরা বার-বার এরকম আক্রমণ একটার পর একটা দেখে আসছি। প্রায় এক শতাব্দি আগে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, একটি আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো, যে আন্দোলন “নারী হওয়ার প্রকৃত অর্থ কী” তার একেবারে গোড়ায় গিয়ে আঘাত হানলো। এমন একটি আন্দোলনের আবির্ভাব হলো যা নারী এবং পুরুষের ভূমিকাকে আক্রমণ করলো; যা প্রকৃত নারীত্বকে উপহাস করলো, যদিও নিজেদেরকে তারা “নারীবাদী” হিসেবে দাবী করে। তারা পুরুষত্বের প্রকৃত বৈশিষ্ট্যগুলোকে উপহাস করলো। আর বললো, নারী ও পুরুষের ভূমিকা এক ও অভিন্ন। এই আন্দোলনটি মোটা দাগে নিজেকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলো।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই আন্দোলনের পর আরেকটি আন্দোলনের উদ্ভব হলো। ষাটের দশকের পর থেকে, একটি আন্দোলন দৃশ্যপটে আসলো; আর এই আন্দোলনটি ন্যাক্কারজনকভাবে বিবাহ-বহির্ভুত অবাধ মেলামেশাকে উৎসাহিত করলো। এটা অন্তরঙ্গ সম্পর্ককে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর বেডরুমের ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখলো না, বরং সকল স্থানে নগ্নতা, ফাহেশা, চরিত্রহীনতা আদর্শে পরিণত হলো। আর এই আন্দোলনটিও তাদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপকভাবে সফল বলে বিবেচিত হলো। মাত্র একশো বছর আগেও, এই যুক্তরাষ্ট্রে বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে জড়ানো মানুষের পরিমাণ দশ শতাংশেরও কম ছিলো; এই একই দেশে পঁচানব্বই শতাংশেরও বেশী নারী পুরুষ এখন বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে লিপ্ত। পরিসংখ্যানটি নিয়ে চিন্তা করুন। পঁচানব্বই শতাংশের বেশী মানুষ বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে লিপ্ত! আর এটা এখন এমনকি গোপন রাখার মতো বিষয় হিসেবেও বিবেচিত না। তো এই আন্দোলনটিও গোটা সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসলো।

এটাকেও তারা যথেষ্ট মনে করলো না। আরো একটি আন্দোলনের সূচনা হলো। এটা শুরু হয়েছে আমাদের জীবদ্দশাতেই; আমাদের যাদের বয়স ৩৫ অথবা ৪০ এর উপরে। আশির দশকের পর থেকে একটি নতুন আন্দোলন শুরু হলো। সমকামী আন্দোলন। এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলন। আর আমরা চরিত্রহীনতার স্বাভাবিকীকরণ লক্ষ করলাম শুধু নারী এবং পুরুষের মধ্যেই না, বরং সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যেও। আর এটাও এর নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপকভাবে সফল বলে বিবেচিত হলো। এখন সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্য আদালতগুলোও তাদের স্বপক্ষে আইন পাশ করেছে।

এতো কিছু করেও তাদের লালসা থামল না। বর্তমানে আমাদেরকে আবারো আরেকটা আক্রমণের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলনটা অনেকগুলো দৃষ্টিকোণ থেকেই আগের যেকোনোটার চেয়ে অধিক অনিষ্টকর; অকপটে বলতে গেলে বিষয়টা আসলেই অবিশ্বাস্য। কারণ এটা অস্বীকার করছে শুধু ধর্মবিশ্বাসকেই না, শুধু ধর্মগ্রন্থকেই না, শুধু ইতিহাসকেই না; বরং এটা জীববিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলোকেও অস্বীকার করছে। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্যকেও অস্বীকার করছে, যে ব্যাপারে ভিন্ন দুই-রকমের মতামতও নেই। আর তা হচ্ছে, পুরুষ এবং নারী হলো পৃথক দুটি লিঙ্গ। গোটা মানবজাতি; মানবজাতির কথা ভুলে যান; গোটা স্তন্যপায়ী প্রাণীকূল; স্তন্যপায়ীদের কথা ভুলে যান; প্রাণীজগতের সকল প্রজাতির ক্ষেত্রে আদর্শ হলো — হ্যাঁ, দু-একটি ব্যতিক্রম আছে এ্যামিবা বা এজাতীয় ক্ষেত্রে — কিন্তু আদর্শ হলো প্রতিটি সৃষ্ট প্রাণীর মধ্যে পুরুষ এবং নারী রয়েছে। এটাই আদর্শ। কেউ কখনো এমন সময়ের আগমনের কথা চিন্তাও করেনি যে, যখন জীববিজ্ঞানের এরকম মৌলিক প্রতিষ্ঠিত সত্যও একসময় প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।

কিন্তু এখন আমাদের অবস্থা কোথায় এসে পৌঁছেছে!! এখন বিতর্ক করতে হচ্ছে যে নির্ধারিত লিঙ্গের ধারণাটি কি যথার্থ, নাকি এটা এটা সামাজিকভাবে আরোপিত? সামাজিকভাবে আরোপিত বলতে তারা বোঝায়, মানুষ অথবা সভ্যতা অথবা সমাজের দ্বারা সৃষ্ট কল্পনাপ্রসুত উদ্ভাবন। শুনতে যতো বিব্রতকরই মনে হোক না কেন, এটা বলতেই হবে; যদি পথপরিক্রমাটি লক্ষ্য করেন, যেখানে আমরা এখন অবস্থান করছি, খোলাখুলি বলতে গেলে, শুরু থেকে দেখলে এরকম হওয়াটাই অপরিহার্য ছিলো। কারণ, যদি নারী-পুরুষের ভূমিকা নিয়ে কারসাজি করেন, যেমনটা ঘটেছিলো একশো বছর আগে, আপনি যদি নারী-পুরুষের স্বাভাবিক ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, এর অপরিহার্য ফলাফল হলো, আপনি স্বয়ং লিঙ্গের ধারণাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবেন; আপনি লিঙ্গ এবং লিঙ্গভিত্তিক দৈহিক বৈশিষ্ট্যগুলোকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবেন।

এখন আমাদের সন্তানদেরকে এতো প্রাথমিক মৌলিক প্রতিষ্ঠিত সত্যটিও আবার শিখাতে হবে; যেটা কুরআনের বিষয় নয়, ইতিহাসের বিষয় নয়, বরং একেবারে প্রাথমিক জীববিজ্ঞানের বিষয়। যে, পুরুষরা নারীদের মতো নয়। লিঙ্গ মূলত দুই ধরণের: একটা হলো পুরুষ লিঙ্গ আরেকটা হলো স্ত্রী লিঙ্গ। আর এই দুটি জিনিস এক ও অভিন্ন নয়।

আমাদের সন্তানদেরকে শুধু এই শিক্ষা দেয়ার চেয়েও বেশী আতঙ্কজনক বিষয়টি হলো, অনধিকার প্রবেশকারীর মতো আইনের বিধানগুলো আমাদের ঘরগুলোকেও হুমকিতে ফেলছে। ইতোমধ্যে কানাডাতে এমনটা ঘটেছে; এটা আদালতের একটা বাস্তব মামলার ঘটনা। কানাডাতে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, আঠারো বছরের কম এক ছেলে মেয়েতে রূপান্তরিত হতে চেয়েছে। তার মা-বাবা অস্বীকৃতি জানালো। এই অপ্রাপ্তবয়স্ক বালকটি তার নিজের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। তার বয়স এখনো আঠারো হয়নি। আর সে বলেছে যে, আমার মা-বাবা আমাকে মেয়েতে রূপান্তরিত হতে বাধা দিচ্ছে। তাই সে নারী হওয়ার জন্য তার মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা করে; আর আদালত তার পক্ষ গ্রহণ করে; তার মা-বাবার কাছ থেকে অভিভাবত্বের অধিকার ছিনিয়ে নেয়। তাকে তার মা-বাবার কাছ থেকে নিয়ে নেয়; কারণ তাদের দৃষ্টিতে এটা নির্যাতন। তাকে অন্য আরেকটি পরিবারে স্থানান্তরিত করা হয়; আর তাকে নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।

আর এখানে, টেক্সাসে, এখানে এই মুহূর্তে একটি মামলা চলমান আছে। এটা আতঙ্কজনক; আর এজন্যই আমি এই খুতবাটি দিচ্ছি। কারণ আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে আমাদের নিজেদের সন্তানদের রক্ষা করার জন্য এবং বৃহত্তর সমাজের কাছে এটা প্রচার করতে হবে। এই টেক্সাসেই, এক দম্পতি বিবাহ-বিচ্ছেদ করে; এখন বাবা এবং মা পৃথকভাবে বসবাস করছে; আর মা তার সন্তানের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চায়, যার বয়স সাত বছর। মা তার ছেলেকে জোর করে মেয়েতে রূপান্তরিত করতে চায়।

কিন্তু বাবা বলছে, না। মা বলছে, ছেলেটা আসলে একটা মেয়ে, যে একটি ছেলের শরীরে আটকা পড়ে আছে; মনের দিক থেকে সে আসলে একটা মেয়ে; আর ছেলেটিও নিজেকে মেয়ে হিসেবে বিবেচনা করছে। বাবা বলছে, না, এটা তার মা তার সন্তানের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। যখন থেকে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে, সে মূলত ছেলেই ছিলো। কিন্তু তার মা তাকে মেয়েদের মতো পোশাক পরিয়েছে, সে এরকম করেছে, সে সেরকম করেছে; আর এখন স্পষ্টতই ছেলেটি মনে করে নিয়েছে যে সে একজন মেয়ে; কারণ এভাবেই তাকে বড় করা হয়েছে। তো বাবাটি বলছে যে এটা লালন-পালনের ত্রুটি। আর মা বলছে, না, এটাই তার লিঙ্গগত পরিচয়। আর এখন পর্যন্ত এটা আদালতের বিবেচনাধীন রয়েছে; কিন্ত এখন পর্যন্ত বাবাটির কথার মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, আর আদালত এখনো মায়ের অনুকূলেই রয়েছে।

এটা একটা খ্রিস্টান দম্পতি, আমাদের বিশ্বাসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমাদের পরিবারগুলোর বিবেচনায় এই ঘটনাটা প্রাসঙ্গিক, আর এটা মৌলিক মানবাধিকারেরও বিষয়।

প্রিয় ভাই এবং বোনেরা, আল্লাহর শপথ, এটা একটা মর্মান্তিক বাস্তবতা যে, আমাকে জুম’আর খুতবা দিতে হচ্ছে জীবনের এই মৌলিক ব্যাপারটি নিয়ে যে, পুরুষ লিঙ্গের যেমন অস্তিত্ব রয়েছে, স্ত্রী লিঙ্গেরও তেমন অস্তিত্ব রয়েছে, আর প্রত্যেকটি বিষয়ের বিবেচনায় এই দুই লিঙ্গ পৃথক। কিন্তু আমাদের সামনে এটা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। কারণ এই আইনটি শুধু আমাদের শিশুদের মাঝেই বিকৃতি নিয়ে আসছে না, বরং এটা আমাদের জন্য নিজেদের ঘরেই হুমকির কারণ হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করুন।

যদি এই রীতি চলতে থাকে, আমরা কী করবো যদি আমাদেরই কারো সন্তান ব্রেইন-ওয়াশের শিকার হয়; কী করবো আমরা যদি আমাদের নিজেদের মসজিদেই একজন সাত বছরের শিশু বলে ওঠে যে, আমি ভিন্ন লিঙ্গের মানুষ; সেই অবস্থায় আমরা কী করবো ? এজন্যই আমাদেরকে এখন থেকেই কী ঘটছে তা উপলব্ধি করতে হবে এবং আইনী ব্যবস্থার ভেতরে থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, ঈমানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার অধিকার, স্বাধীনভাবে ইসলাম অনুশীলনের অধিকার, স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে আমাদের বসবাসের অধিকার যাতে ছিনিয়ে নেয়া না হয়।

অনুবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় Yasir Qadhi Collection In Bangla ফেসবুক পেইজে

***

ইংরেজিতে সম্পূর্ণ খুতবাটি শুনুন এখানে:

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান